শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০১:০২ পূর্বাহ্ন
অনলাইন ডেক্স: নুতন ১০ প্রজাতির ড্রাগন চাষ করে সফল পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার বালিয়াতলী ইউনিয়নের কাংকুনী পাড়া গ্রামের কৃষক মোস্তফা জামান। ২০১২ সালে ঢাকা থেকে দেশী জাতের বীজ সংগ্রহ করে সখের বসে শুরু করেন ড্রাগন চাষ। ফলন ভালো হওয়ায় ২০১৭ সালে নিজ ভগ্নি পতির পরামর্শে বাড়ির পাশের ১ একর জমিতে ৪ শ‘ গাছ নিয়ে বানিজ্যিকভাবে শুরু করেন ড্রাগন চাষ। বর্তমানে সিঙ্গাপুরের পেলোরা, বারি অন সাদা, বারি অন লাল, বারি অন গোলাপি, বারি গোল্ড, ইজরাইলি হলুদ, রেড ভিউ বেট ও ব্লাক ইষ্ট সহ বাগানের থোকায় থোকায় ঝুলছে নতুন জাতের ১০ প্রজাতির ড্রাগন ফল। লাল, সাদা, হলুদ এবং গোলাপি রঙ্গের পুষ্টিগুন সমৃদ্ধ সুস্বাদু এ ড্রাগন ফল বাগানে বসেই তিনি বিক্রি করছেন ৪শ‘ টাকা কেজি দরে। এতে খরচ বাদে প্রতি মাসে তার আয় হচ্ছে ৫০ হাজার টাকা। বর্তমানে এ বাগানটি এক নজর দেখতে ভীড় করছে উৎসুক মানুষ। ইতিমধ্যে সফল এ ড্রাগন চাষীর সফলতায় এ উপজেলার গড়ে উঠেছে অন্তত ৫০ টি ছোট বড় ড্রাগন বাগান। এসব বাগানের মালিকদের প্রশিক্ষন সহ সকল ধরনের সহযোগিতা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে উপজেলা কৃষি বিভাগ।
চাকামইয়া নূর মোহাম্মদ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, মস্তফা জামান একজন সফল ড্রাগন চাষী। তার বাগানের কাটিং সংগ্রহ করে আমি ৩টি জাতের ড্রাগন উৎপাদন করেছি। ধানখালী ইউনিয়নের কৃষক সোহেল ঘরামী জানান, মস্তফা জামানে ড্রাগন বাগানে ফলন বেশ ভালো হয়েছে। গতমাসে তার কাছ থেকে কাটিং সংগ্রহ করে ছোট পরিসরে ড্রাগন চাষ শুরু করেছি।
সফল ড্রাগন চাষী মন্তফা জামান জানান, মূলত সখের বসেই ড্রাগন চাষ শুরু করেছিলাম। এখন বানিজ্যিক ভাবে করে সফলতা পেয়েছি। বাড়িতে বসেই ড্রাগন পাইকারি এবং খুচরা বিক্রি হয়ে যাচ্ছে। বর্তমানে আমার বাগানে ৮ প্রজাতির ড্রাগন গাছে ফল ধরেছে। তবে ভিয়েতনামের রেড ও তাইওয়ানের রেড ড্রাগনে এখনও ফল ধরেনি। তবে আগামী মাসের মধ্যে এই দুই জাতের গাছেও ফল আসবে বলে আশা করি।
বালিয়াতলী ইউপি চেয়ারম্যান চেয়ারম্যান মো.হুমায়ুন কবির জানান, মস্তফার বাগানে আমি গিয়েছি। তার সফলতা দেখে আমি অনুপ্রানিত হয়েছি। আশা করছি এলাকার যুবকরা তার সফলতা দেখে এ ধরনের খামার গড়ে তুলতে পারবে।
কলাপাড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এআরএম সাইফুল্লাহ জানান, মস্তফা জামান এখন সফল ড্রাগন চাষী। তার দেখাদেখি ইতিমধ্যে অনেক যুবক ড্রাগন চাষে আগ্রহী হয়েছে। আমরা অনেক যুবককে ইতিমধ্যে প্রশিক্ষন দিয়েছে। আসা করছি নতুন নতুন আগ্রহী যুবকদের মাধ্যমে এ উপজেলায় ড্রাগন বাগানের ব্যাপক সম্প্রসারন ঘটবে।